পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা কারাবন্দিরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পাবেন। ঈদের দিন নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কারাবন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের এই সাক্ষাতের সুযোগ মিলবে। সেই সঙ্গে বন্দিদের জন্য থাকবে উন্নত মানের খাবার। কারাগারের অভ্যন্তরেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ঈদের জামাতের। কারাবন্দিদের পাশাপাশি কারারক্ষীদের দায়িত্বও এই সময়ে বেড়ে যায়। এসব বিষয় বিবেচনায় ঈদকে কেন্দ্র করে কারা কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। কারা অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের দিন তিন বেলা বন্দিদের উন্নত খাবার দেওয়া হবে। সকালের মেনুতে থাকবে পায়েস, মুড়ি, দুপুরে থাকবে পোলাও, গরুর মাংস, মুরগির মাংস রোস্ট, ডিম, কোমল পানীয়, সালাদ, মিষ্টি, পান, সুপারি। রাতের মেনুতে থাকবে ভাত, সবজি, মাছ।
কারা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কারাগারে দর্শনার্থীদের চাপ বেশি থাকে। এ সময় কারাবন্দিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করার সুযোগ পায়। সে কারণে কারারক্ষীদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। এর মধ্যেও যতটুকু সম্ভব কারারক্ষীদের ঈদের ছুটি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
বিশেষ এই দিনে কারারক্ষীদের জন্যও উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের এই বিশেষ দিনে সবাই যেন ভালোভাবে কাটাতে পারে সেজন্যই এমন উদ্যোগ।
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদের দিনটিকে কেন্দ্র করে সরকার নির্ধারিত বাজেট অনুযায়ী আমরা কারাবন্দিদের খাবার সরবরাহের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঈদের দিন দেখা করতে পারবেন। মোবাইল ফোনেও কথা বলার সুযোগ পাবেন। এছাড়া, ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের নামাজের সময় বৃষ্টি যেন বাধা হতে না পারে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
কারা অধিদফতরের সহকারি কারা মহাপরিদর্শক মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও ঈদের দিন কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি কারাগারে বরাদ্দ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জনপ্রতি যে বরাদ্দ সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে থেকে উন্নত মানের খাবার সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করছি।
পাঠকের মতামত